নারীরা কেনো বেশি জাহান্নামে যাবে? ||More Women in Hell Than Men?

0

 

নারীরা কেনো বেশি জাহান্নামে যাবে? ||More Women in Hell Than Men?

নারীরা কেনো বেশি জাহান্নামে যাবে?
নারীরা কেনো বেশি জাহান্নামে যাবে?

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম (Bismillahir Rahmanir Rahim) সকল প্রশংসার মালিক আল্লাহ:

 অধিকাংশ নারী জাহান্নামে যাবে স্বামীকে একটা কথা বলার কারণে। নবীজি বললেন আমি জিব্রাইলকে (আঃ) জিজ্ঞেস করলাম, হে জিব্রাইল ভাই, এতো নারী যে দেখলাম তারা কেন জাহান্নামে আসছে, এরা কি আল্লাহর সাথে কুফরি করার জন্য জাহান্নাম আসছে, না ইয়া রাসুল আল্লাহ একজনও আল্লাহর সাথে কুফরি করার জন্য জাহান্নামে আসেনি। সবাইকে আল্লাহ জাহান্নামে দিয়েছেন স্বামীকে একটা কথা বলার কারণে। নবীজি চিন্তিত হয়ে গেলেন জিবরাইল বলছ কি! একটা কথা বলার কারণে আল্লাহ জাহান্নামে দিয়েছে? হে আল্লাহর রাসূল   এদের আমলনামায় সওয়াব ছিল পাহাড় পরিমাণ, এরা নামাজ পড়েছে, এরা দান সদকা করেছে, এরা রোজা রেখেছে, ভালো ভালো কাজ করেছে  কিন্তু স্বামীকে একটা কথা বলেছে সে কারণে আল্লাহতালা তাদের প্রতি রাগান্বিত হয়ে তাদের সকল আমলকে বরবাদ করে জাহান্নামে দিয়েছে।

 

যারা মা বোনেরা রয়েছেন তারা কথাটা মনোযোগ সহকারে শুনুন, কথাটা কখনো স্বামীকে বলবেন না। জিব্রাইল আঃ বলেন ইয়া রাসুল আল্লাহ, এরা ছিল প্রতিটা স্ত্রী স্বামীর অবাধ্য, তারা একটা কথা মাঝে মাঝে স্বামীকে বলত, তারা যখন স্বামীর কাছে কোন জিনিস চাইতো স্বামী তখন তাদেরকে সে জিনিস দিত, যখন কোন ভালো খাবার চাইতো ভালো খাবার দিত, যখন কোন ভালো জায়গায় ঘুরতে যাইত বলতো তখন ঘুরতে নিয়ে যায়তো,যখন কোন ভালো পোশাক চাইত তখন ভালো পোশাক দিত, এক কথায় যখন যা চাইতো তাই দিত কিন্তু নবীজি শোনেন কোনদিন যদি স্বামী কোন কারনে দিতে না পারতো  তবে অতীতের সব অবদানের কথা ভুলে গিয়ে বলতে থাকে আমি তোমার সংসারে এসে কোনদিন সুখ এবং শান্তি পাইলাম না আমি দেখে তোমার সংসার করলাম অন্য কোন মেয়ে হলে তোমার সংসার করত না। বলেন নাউজুবিল্লাহ। জিব্রাইল আঃ বললেন ইয়া রাসূলাল্লাহ এই একটি কথা বলার কারনে বেশিরভাগ স্ত্রী জাহান্নামে যাবে।

 আরও পড়ুন-তাহাজ্জুদ নামাজ কিভাবে পড়তে হয়? নিয়ম, নিয়ত ও এর গুরুত্ব

ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেনঃআমি জান্নাতের দিকে তাকালাম এবং দেখতে পেলাম এর অধিকাংশ মানুষই গরীব আর আমি জাহান্নামের দিকে তাকালাম এবং দেখতে পেলাম যার অধিকাংশই নারী।"

(আল-বুখারী-3241, মুসলিম-2737)

এর কারণ সম্পর্কে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এর কারণ ব্যাখ্যা করেন।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃআমাকে জাহান্নাম দেখানো হয়েছে এবং এর চেয়ে ভয়ানক কিছু আমি দেখিনি। এখানে দেখতে পেলাম বেশিরভাগ লোকই নারী।" তারা বলল, কেন হে আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেন, তাদের অকৃতজ্ঞতার (কুফর) কারণে। বলা হলো, তারা কি আল্লাহর প্রতি অকৃতজ্ঞ? তিনি বলেন, “তারা তাদের সঙ্গীদের (স্বামীদের) প্রতি অকৃতজ্ঞ এবং উত্তম আচরণের জন্য অকৃতজ্ঞ। " (আল-বুখারি-1052)

ইসলামে নারীদের মর্যাদা অনেক বেশি। আর এই জন্য নারীদেরকে জান্নাতে যাওয়ার পথও সহজ করে দিয়েছে। এক হাদিসে উল্লেখ আছে নারীরা বেহেস্তে যেতে হলে চারটি আমল সঠিকভাবে পালন করতে হবে তাহলে তারা জান্নাতের যেকোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।সে ৪টি আমল হল-

. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সঠিকভাবে পালন করতে হবে।

. রমজানের রোজা পালন করতে হবে।

. লজ্জাস্থানের হেফাজত করতে হবে অর্থাৎ স্বামী রেখে অন্য কারো সাথে পরকীয়া করা যাবে না।

আরও পড়ুন- নামাজ না পড়ার যে সব শাস্তি দুনিয়া ও আখেরাতে

. স্বামীর আনুগত্য প্রকাশ করতে হবে।

অধিকাংশ নারী জাহান্নামী কেন? (মিজানুর রহমান আজহারী) Mizanur Rahman Azhari waz

 

যে কারনে নারীরা বেশি জাহান্নামে যেতে পারে:

এখন জানার চেষ্টা করব যে কারণে নারীরা সবচেয়ে বেশি জাহান্নামে যেতে পারে:

.বেপর্দা নারীঃ যেসব নারী মাথায় চুল খোলা রেখে বেপর্দায় চলাফেরা করে। এসব নারীদের জাহান্নামে নিজের মাথার চুল  ঝুলন্ত অবস্থায় থাকবে এবং  ওই সময় তার মাথার মগজগুলো ফুটন্ত পানির ন্যায় টগবগ টগবগ করে ফুটবে।

 . কটু কথার মাধ্যমে স্বামীকে কষ্ট দেওয়াঃ  সমাজে এমন অনেক মহিলা আছেন যারা নামাজ রোজায় অনেক পাকা কিন্তু তার মুখের কটুকথার মাধ্যমে  স্বামী শ্বশুর-শাশুড়ি পাড়া-প্রতিবেশী কে কষ্ট দেয  এবং স্বামীকে কোন ধরনের সম্মান করেনা। এই সব মহিলাদের নিজ জিব্বা ঝুলন্ত অবস্থায় থাকবে অর্থাৎ মুখ গহবর হতে জিব্বা টেনে বের করে তা আবার সমস্ত শরীরের ওজন জিহ্বার উপরে ছেড়ে দেবে।

 .পুরুষের সাথে সম্পর্ক রাখাঃ এমন মহিলা আছে যে স্বামী রেখে পর পুরুষের সাথে সম্পর্ক রাখে যা আমরা গ্রাম্য ভাষায় বলি পরকীয়া। এসব মহিলাদের স্তন্য ঝুলন্ত অবস্থায় থাকবে জাহান্নামে অর্থাৎ সমস্ত শরীরে ওজন তার স্তনের উপরে ছেড়ে দেওয়া হবে।

.পবিত্রতা অর্জনে অলসতা করাঃ যে নারী অপবিত্র হওয়ার পর পবিত্রতা হওয়ার জন্য অলসতা করে এবং নামাজে অমনোযোগী হয় অর্থাৎ কোন জায়গায় বেড়াাতে গেল, প্রসাধনী নষ্ট হওয়ার ভয়ে নামাজের কাছেই গেলো না অথচ কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম এই নামাযেরই হিসাব হবে। এসব মহিলারা  নিজ পদযুগল বক্ষে এবং হস্তদয় ললাটে আবদ্ধাবস্থায় জাহান্নামে শাস্তি  ভোগ করতে থাকবে।

.মিথ্যা কথা বলা এবং গীবত করাঃ যেসব নারী কথায় কথায়  মিথ্যা বলে  এবং গীবত করে জাহান্নামে এসব নারীদের চেহারা হবে শুকরের মত এবং শরীর গাধার মত অবস্থায়  অসংখ্য সাপ বিচ্ছু দ্বারা বেষ্টিত থাকবে। নাউজুবিল্লাহ আল্লাহ প্রত্যেকটি মা-বোনদেরকে হেফাজত  করুন।  পরনিন্দা করা মিথ্যা বলা পাপের বাপ মহাপাপ।কারন পবিত্র কুরআনে পরনিন্দা করাকে মৃত ভাইয়ের গোস্ত খাওয়ার সাথে তুলনা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- কবর জিয়ারতের নিয়ম || Rules for visiting graves

 . হিংসা করা এবং কথায় কথায় খোটা দেওয়াঃ যেসব নারী অন্যের সুখ দেখে হিংসা করে এবং কোন প্রকার উপকার করলে খোটা দেয়। এসব নারীদের চেহারা হবে কুকুরের মত আর মুখ গহবরের জাহান্নামের আগুন প্রবেশ করে মলদ্বার দিয়ে বের করা হবে। হিংসা পতনের মূল তাই আমাদের সবার উচিত হিংসা পরিহার করা আর কাউকে উপকার করে কোন প্রকার খোটা দেওয়া থেকে বিরত থাকার চেস্টা করবো।

বিশেষ দ্রষ্টব্যএই পোস্টে কোথায় কোন ভুল ত্রুটি হলে নিজ গুণে ক্ষমা করবেন। যেহেতু আমরা মানুষ আর মানুষ মাত্রই ভুল হতে পারে। তাই ভুলগুলো কমেন্ট করে জানালে  পরবর্তী আপডেট পোস্টে সংশোধন করা হবে। সবাই ইসলামের স্বার্থে পোস্টটি শেয়ার কমেন্ট এবং সাবস্ক্রাইব করুন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ