স্কুল ছাত্রীকে জোর করে চুমু, মাদ্রাসার ছাত্র গ্রেফতার (ভিডিওসহ)!

এবার দিনাজপুর শহরে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা, এখানে এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে জোর করে চুমু খায় মাদ্রাসার এক ছাত্র। সাধারণ জনগণের সহতায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।

স্কুল ছাত্রীকে জোর করে চুমু, মাদ্রাসার ছাত্র গ্রেফতার (ভিডিওসহ)

দিনাজপুর শহরের কালীতলা এলাকায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে জোর করে চুমু খাওয়া হয়েছে। এই ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেসহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ অভিযুক্ত সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়।

গ্রেফতারকৃত সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন দিনাজপুর শহরের বালুয়াডাঙ্গা এলাকার আরিফুল ইসলামের ছেলে। তিনি রংপুরের একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করেন।

জানা গেছে, ২০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ১২ বছর বয়সী ছাত্রীকে অনুসরণ করে রবিবার (১৭ মার্চ) জোর করে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেন। তরুণীর বাবা বাদী হয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।

এদিকে ঘটনাটি সিসিটিভিতে রেকর্ড হওয়ার পর ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকেসহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে। শহরে তোলপাড় শুরু হয়।মানুষের মুখে বলাবলি করতে শুরু করে।

আরো বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিওটির সহায়তা নিতে পারেন-

এদিকে এ ঘটনাটি সিসিটিভিতে রেকর্ড হওয়ার পর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এ নিয়ে শহরজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

কোতয়ালী থানার তদন্ত পরিদর্শক  মনিরুজ্জামান মণ্ডল মনির জানান, নগরীর কালিতলা মহল্লার একটি বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী রোববার সকাল সোয়া ৯টার দিকে স্কুল ড্রেস পড়ে স্কুলের পাশে চাচাতো ভাইয়ের বাসায় যাচ্ছিল। এর আগে সাখাওয়াত হোসেন নামের ওই যুবকটি তাকে অনুসরণ করে স্কুলের গলিতে আচমকা ওই ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেলেন। এদিকে যুবকের নখের আঘাতে মেয়েটির গাল আঁচড়ে গেছে। তার চিৎকার শুনে যুবকটি পালিয়ে যায়। সিসিটিভিতে ঘটনার দৃশ্য দেখে স্থানীয়রা তাকে ধাওয়া করে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আমরা সবাই অপরাধ থেকে দূরে থাকবো। এ সকল অপরাধকে আমরা ঘৃণা সহকারে প্রত্যাখ্যান করব। জনস্বার্থে পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন।